সকলেরই সাধ্য অনুযায়ী সঞ্চয় করা উচিত। কিছু অর্থ সঞ্চিত হয়ে গেলে আবার অনেকেই দ্বিধায় পড়ে যান কোথায় বিনিয়োগ করবেন। অনেকেই বেশি মুনাফার লোভে বিভিন্ন কো -অপারেটিভ সোসাইটি বা পিরামিড স্কিম (যেমন: ডেস্টিনি/ইউনি-পে) এর ফাঁদে পড়ে ক্ষতির শিকার হন। এই লেখার উদ্দেশ্য হল বাংলাদেশে অর্থ বিনিয়োগ এর সব থেকে নিরাপদ খাতগুলো সম্পর্কে আপনাকে জানানো।
১. সঞ্চয়পত্র : বাংলাদেশ ব্যাঙ্ক এর বিভিন্ন সঞ্চয়পত্র স্কিম রয়েছে। জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর এর ওয়েবসাইট এ সঞ্চয়পত্র বিষয়ক সকল তথ্য দেওয়া রয়েছে। সঞ্চয়পত্রের প্রকারভেদ গুলো হলো :
- ৫-বছর মেয়াদী বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র
- ৩ মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র
- পরিবার সঞ্চয়পত্র
- পেনশনার সঞ্চয়পত্র
সঞ্চয়পত্র কিনলে আরেকটা সুবিধা হলো আপনি এর মাধ্যমে ট্যাক্স-রিবেট পেতে পারবেন।সঞ্চয়পত্র আপনি ব্যাঙ্ক থেকেও কিনতে পারবেন, আপনার যে ব্যাঙ্ক এ একাউন্ট রয়েছে সেই ব্যাঙ্ক এ যোগাযোগ করে দেখতে পারেন। এছাড়া ডাকঘর অথবা বাংলাদেশ ব্যাঙ্ক থেকে ক্রয় করা যায়।
২. ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাঙ্ক: আপনি যেকোন পোস্টঅফিস/ডাকঘরে সঞ্চয় ব্যাংকে একাউন্ট খুলে বিভিন্ন স্কিম এ সঞ্চয়ের সুবিধা নিতে পারেন। স্কিম গুলো হলো :
৩. সরকারী ব্যাঙ্ক এর FDR: রাষ্ট্রায়ত্ত ছয়টি ব্যাংকেই বিভিন্ন মেয়াদ এ FDR একাউন্ট খোলার সুবিধা রয়েছে।
- জনতা ব্যাঙ্ক
- অগ্রণী ব্যাঙ্ক
- সোনালী ব্যাঙ্ক
- রুপালি ব্যাঙ্ক
- বেসিক ব্যাঙ্ক
- বাংলাদেশ ডেভেলোপমেন্ট ব্যাঙ্ক
সকল ব্যাঙ্ক এর মুনাফার হার বাংলাদেশ ব্যাঙ্ক এর ওয়েবসাইট এ দেওয়া রয়েছে।
৪. বেসরকারী ব্যাংকসমূহের FDR: প্রতিটি বেসরকারী ব্যাংকেই FDR একাউন্ট খোলার সুযোগ রয়েছে। আপনি যেকোনো ব্যাঙ্ক এর যে কোনো শাখায় যেয়ে এ ব্যাপারে কথা বলে দেখতে পারেন। আর প্রত্যকেটা ব্যাঙ্ক এর ওয়েবসাইট এ সর্বশেষ মুনাফার হার সম্পর্কে জানতে পারবেন।
৫. মিউচুয়াল ফান্ড: অনেকে হয়তো আপনাকে বলবে স্টক মার্কেটে বিনিয়োগ করতে / অথবা স্টক মার্কেট এ বিনিয়োগ করা নিরাপদ। আপনার যদি স্টক মার্কেট সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা না থাকে অথবা আপনি যদি না বোঝেন কোন শেয়ার কেনায় কিরকম ঝুঁকি তাহলে আপনার কখনোই অন্যের কথা শুনে স্টক মার্কেটে বিনিয়োগ করা উচিত নয়। এক্ষেত্রে আপনি মিউচুয়াল ফান্ড ক্রয় করতে পারেন।
রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অফ বাংলাদেশ বা ICB এর অধীনে রয়েছে অনেকগুলো মিউচুয়াল ফান্ড। ICB এর যেকোনো শাখা থেকে আপনি এইসব মিউচুয়াল ফান্ড কিনতে পারবেন। মিউচুয়াল ফান্ড এ বিনিয়োগ করলেও রয়েছে ট্যাক্স-রিবেট সুবিধা।
বাংলাদেশের অনেক ফিনান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন এখন মিউচুয়াল ফান্ড manage করে। যেমন IDLC এর মিউচুয়াল ফান্ড রয়েছে।